Piyali Halder বেঁচে ওঠার লকডাউন প্রতিদিনই শুতে শুতে ভোর হয়। পাখিদের আওয়াজ , কালো কাটা জানলার বাইরের দৃশ্য আর কয়েক ঢোখ জল খেয়েই শুতে যাই। লকডাউনেও এই রুটিনের বদল হয়নি তেমন। লকডাউনের দৈর্ঘ্য বেড়ে চলা , বাড়িবন্দি দশার যন্ত্রণা , মাপা জীবনচর্চা , ভালবাসার মানুষদের অদেখার অনন্তকাল যাপন - সব মিলিয়ে হতাশা , বরক্তি , মনখারাপ , একগাদা দুশ্চিন্তা নিয়ে যখন লকডাউনের প্রায় দেড়টা মাস অতিক্রম করে ফেললাম , এমন দিনে মন ভালো করে দেয় নিস্তব্ধ রাস্তাঘাট , মাঝরাতে কোকিলের ডাক , সারা সকাল জুড়ে শালিখ , চড়ুই - এর কিচির মিচির , একপশলা বৃষ্টি পড়লেই ছোটবেলার কবিতায় পড়া ব্যাঙের গ্যাঙর গ্যাঙর ডাক , রাস্তার ধারের ফুটপাথগুলোয় পেতে রাখা পাথরের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেওয়া সবুজ ঘাস - চারারা। গোটা শীতে ধুলো জমা গাছের দিকে তাকিয়ে এখন আর মন খারাপ করেনা , বরং গ্রীষ্মের এমন দিনেও শহর কোলকাতায় যেন সবুজের মেলা বসেছে। পাড়ার অলি গলি থেকে বড় রাস্তার দুধারে জমছে না প্লাস্তিকের স্তূপ , দ...